হেদায়েতপ্রাপ্তী আল্লাহর পূর্ব নির্ধারিত

সহিহ মুসলিম 

খন্ড ১ : হাদিস ৩৬

সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (র)-এর সুত্রে তাঁর পিতা থেকে বর্ননা করেন যে, আবু তালিবের মৃত্যুর সময় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তার কাছে উপস্থিত হলেন ।   সেখানে আবু জাহল ও আবদুল্লাহ ইবন আবু উমায়্যা ইবন মুগীরাকে দেখতে পেলেন । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, হে চাচাজান! আপনি কালিমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলুন।
আমি আল্লাহর কাছে আপনার জন্য (এর উসিলায়) সাক্ষ্য দিব । আবু জাহল ও আবদুল্লাহ ইবন আবু উমায়্যা বলল ,হে আবু তালিব ! তুমি কি আবদুল মুত্তালিবের দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে ? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বারবার ঐ কথার পুনরাবৃত্তি করে যাচ্ছিলেন । আবু তালিব শেষ কথাটি এ বললেন যে, তিনি আবদুল মুত্তালিবের দীনের উপরই রয়েছেন । লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ- বলতে অস্বীকার করলেন । এরপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি আপনার জন্য অবশ্যই ইসতিগফার- করতে থাকব, যতক্ষন না আমাকে তা থেকে নিষেধ করা হয়, এ প্রেক্ষাপটে আল্লাহ তায়াআলা নাযিল করেনঃ “(অর্থ) আন্তীয়-স্বজন হলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী এবং মুমিনদের সঙ্গত নয় যখন সূস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা জাহান্নামী।” (৯-১১৩) আবু আল্লাহ জন্য বিশেষভাবেআবু তালিবের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে লক্ষ্য করে ইরশাদ করেনঃ  (অর্থ) “(হে রাসুল) আপনি যাকে চাইবেন তাকে পথ দেখাতে পারবেন না কিন্তু আল্লাহ পথ দেখান, যাকে ইচ্ছা করেন । আর তিনিই সম্যক জ্ঞাত আছেন কাদের ভাগ্যে  হিদায়াত আছে সে সষ্পর্কে ।”