সহিহ মুসলিম
খন্ড ১ :: হাদিস ৬
আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, একদা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) লোকসমক্ষে
ছিলেন, এমতাবস্হায় তাঁর কাছে একজন লোক হাযির হলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল!
ঈমান কী? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ ঈমান হলো, আল্লাহ, তার ফেরেশতা, তাঁর
কিতাবসমুহ, তাঁর সঙ্গে মুলাকাত, তাঁর প্রেরিত রাসুলদের প্রতি ঈমান আনা এবং শেষ
উত্থানের প্রতি বিশ্বাস স্হাপন করা।
তারপর আগন্তুক প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! ইসলাম কী? রাসুল (সাঃ) বললেনঃ , ইসলাম হলো, আল্লাহর ইবাদত করা, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক না করা, ফরয নামায কায়েম করা, নির্ধারিত যাকাত আদায় করা এবং রামাযানের রোযা পালন করা । আগন্তুক আবার প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! ইহসান কী? রাসুল (সাঃ) বললেনঃ ইহসান হলো, তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত- বন্দেগী করবে যেন তাঁকে দেখছ ; যদি তুমি তাকে নাও দেখ, তাহলে ভাববে যে, তিনি তোমাকে দেখছেন । আগন্তুক প্রশ্ন করলেন, কিয়ামত কখন হবে? রাসুল (সাঃ) বললেনঃ এ বিষয়ে প্রশ্নকারীর চাইতে যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে, তিনি অধিক অবহিত নন । তবে হ্যা কিয়ামতের কিছু আলামত বর্ণনা করছি, দাসী তার প্রভূকে জন্ম দেবে। এটি কিয়ামতের আলামতের একটি। বিবস্ত্রদেহ, নগ্নপদ লোক হবে জনগণের নেতা; এটা কিয়ামতের আলামতের একটি । আর রাখালদের বিরাট বিরাট অট্রালিকার প্রতিযোগিতায় গর্বিত দেখতে পাবে, এটিও কিয়ামতের একটি আলামত । পাঁচটি বিষয়ে আল্লাহ ব্যতীত কেউ কিছু জানে না । এ বলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) (এ আয়াতটি) তিলাওয়াত করেনঃ নিশ্চয়ইই আল্লাহ, তাঁরই কাছে রয়েছে কিয়ামতের জ্ঞান । তিনি নাযিল করেন বৃষ্টি এবং তিনি জানেন, যা রয়েছে মাতৃগর্ভে । আর কেউ জানে না কি কামাই করবে সে আগামীকাল এবং জানে না কেউ কোন মাটিতে সে মারা যারে । নিশ্চয়ই আল্লাহ সব জানেন, সব খবর রাখেন । (সূরা লূকমানঃ ৩৪) রাবী বলেন, তারপর লোকটি চলে গেল । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ লোকটিকে আমার কাছে ফিরিয়ে আন । তাঁরা তাকে আনার জন্য গেলেন । কিন্তু কাউকে পেলেন না । তারপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ ইনি জিবরাঈল (আঃ) লোকদের দীন শিক্ষা দেওয়ার জন্য এসেছিলেন ।
তারপর আগন্তুক প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! ইসলাম কী? রাসুল (সাঃ) বললেনঃ , ইসলাম হলো, আল্লাহর ইবাদত করা, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক না করা, ফরয নামায কায়েম করা, নির্ধারিত যাকাত আদায় করা এবং রামাযানের রোযা পালন করা । আগন্তুক আবার প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! ইহসান কী? রাসুল (সাঃ) বললেনঃ ইহসান হলো, তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত- বন্দেগী করবে যেন তাঁকে দেখছ ; যদি তুমি তাকে নাও দেখ, তাহলে ভাববে যে, তিনি তোমাকে দেখছেন । আগন্তুক প্রশ্ন করলেন, কিয়ামত কখন হবে? রাসুল (সাঃ) বললেনঃ এ বিষয়ে প্রশ্নকারীর চাইতে যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে, তিনি অধিক অবহিত নন । তবে হ্যা কিয়ামতের কিছু আলামত বর্ণনা করছি, দাসী তার প্রভূকে জন্ম দেবে। এটি কিয়ামতের আলামতের একটি। বিবস্ত্রদেহ, নগ্নপদ লোক হবে জনগণের নেতা; এটা কিয়ামতের আলামতের একটি । আর রাখালদের বিরাট বিরাট অট্রালিকার প্রতিযোগিতায় গর্বিত দেখতে পাবে, এটিও কিয়ামতের একটি আলামত । পাঁচটি বিষয়ে আল্লাহ ব্যতীত কেউ কিছু জানে না । এ বলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) (এ আয়াতটি) তিলাওয়াত করেনঃ নিশ্চয়ইই আল্লাহ, তাঁরই কাছে রয়েছে কিয়ামতের জ্ঞান । তিনি নাযিল করেন বৃষ্টি এবং তিনি জানেন, যা রয়েছে মাতৃগর্ভে । আর কেউ জানে না কি কামাই করবে সে আগামীকাল এবং জানে না কেউ কোন মাটিতে সে মারা যারে । নিশ্চয়ই আল্লাহ সব জানেন, সব খবর রাখেন । (সূরা লূকমানঃ ৩৪) রাবী বলেন, তারপর লোকটি চলে গেল । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ লোকটিকে আমার কাছে ফিরিয়ে আন । তাঁরা তাকে আনার জন্য গেলেন । কিন্তু কাউকে পেলেন না । তারপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ ইনি জিবরাঈল (আঃ) লোকদের দীন শিক্ষা দেওয়ার জন্য এসেছিলেন ।
No comments:
Post a Comment