Wednesday, March 23, 2016

সর্বোচ্চ কবীরা গুনাহ আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা




আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা কবীরা গুনাহ


শিরক দুই প্রকারঃ

. শিরকে আকবার, আল্লাহর সাথে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন কিছুর ইবাদত করা।
অথবা যে কোন প্রকারের ইবাদতকে আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুর জন্য নিবেদন করা যেমন- আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে প্রাণী জবেহ করা ইত্যাদি। যদি কোন ব্যক্তি ইবাদতের কিছু অংশে গাইরুল্লাহকে শরীক করার মুহূর্তে আল্লাহর ইবাদত করে তবুও তা শিরক
দীলল:
( إِنَّ اللهََّ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لمَِنْ يَشَاءُ (النساء: ٤٨

“নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তার সাথে শিরক করাকে ক্ষমা করবেন না। তবে শিরক ছাড়া অন্যান্য গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন।” (নিসা: ৪৮)

. শিরকে আসগার বা ছোট শিরক: রিয়া অর্থাৎ লোক দেখানোর উদ্দেশ্য নিয়ে আমল করা ইত্যাদি।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
(٦− الَّذِينَ هُمْ عَنْ صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ ﴿ ٥﴾ الَّذِينَ هُمْ يُرَاءُونَ ﴿ ٦﴾ (الماعون: ٤

“অতএব দুর্ভোগ সে সব মুসল্লীর যারা তাদের সালাত সম্পর্কে বে-খবর যারা তা লোক দেখানোর জন্য করে।” (মাউন:-)

রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেন:
أٍنا أغنى الشركاء عن الشرك من عمل عملا اشرك معي فيه غيري تركته وشركه. (رواه
( مسلم: ٥٣٠٠
“আমি অংশিদারিত্ব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। যে ব্যক্তি কোন কাজ করে আর কাজে আমার সাথে অন্য কাউকে শরীক করে, আমি ব্যক্তিকে তার শিরকে ছেড়ে দেই।” (মুসলিম:৫৩০০)


এমনও হতে পারে আমরা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি কিন্তু তার পরও শিরকে লিপ্ত রয়েছি। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে।” {সূরা ইউছুফঃ ১০৬}

No comments:

Post a Comment