আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা কবীরা গুনাহ
শিরক দুই প্রকারঃ
১. শিরকে আকবার, আল্লাহর সাথে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন কিছুর ইবাদত করা।
অথবা যে কোন প্রকারের ইবাদতকে আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুর জন্য নিবেদন করা যেমন- আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে প্রাণী জবেহ করা ইত্যাদি। যদি কোন ব্যক্তি ইবাদতের কিছু অংশে গাইরুল্লাহকে শরীক করার মুহূর্তে আল্লাহর ইবাদত করে তবুও তা শিরক ।
দীলল:
(
إِنَّ اللهََّ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ
لمَِنْ يَشَاءُ (النساء: ٤٨
“নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তার সাথে শিরক করাকে ক্ষমা করবেন না। তবে শিরক ছাড়া অন্যান্য গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন।” (নিসা: ৪৮)
২. শিরকে আসগার বা ছোট শিরক: রিয়া অর্থাৎ লোক দেখানোর উদ্দেশ্য নিয়ে আমল করা ইত্যাদি।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
(٦−
الَّذِينَ هُمْ عَنْ صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ ﴿ ٥﴾ الَّذِينَ هُمْ يُرَاءُونَ ﴿ ٦﴾
(الماعون: ٤
“অতএব দুর্ভোগ সে সব মুসল্লীর যারা তাদের সালাত সম্পর্কে বে-খবর যারা তা লোক দেখানোর জন্য করে।” (মাউন:৪-৬)
রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেন:
أٍنا
أغنى الشركاء عن الشرك من عمل عملا اشرك معي فيه غيري تركته وشركه. (رواه
(
مسلم:
٥٣٠٠
“আমি অংশিদারিত্ব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। যে ব্যক্তি কোন কাজ করে আর ঐ কাজে আমার সাথে অন্য কাউকে শরীক করে, আমি ঐ ব্যক্তিকে তার শিরকে ছেড়ে দেই।” (মুসলিম:৫৩০০)
এমনও হতে পারে আমরা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি কিন্তু তার পরও শিরকে লিপ্ত রয়েছি। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে।” {সূরা ইউছুফঃ ১০৬}
এমনও হতে পারে আমরা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি কিন্তু তার পরও শিরকে লিপ্ত রয়েছি। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে।” {সূরা ইউছুফঃ ১০৬}
No comments:
Post a Comment